০১।ভিজিডি কর্মসূচি: বাংলাদেশ সরকারের সর্ববৃহৎ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসুচি (Safety net programme) । দুঃস্থ ও অসহায় এবং শারীরিকভাবে সক্ষম মহিলাদের উন্নয়ন স্থায়ীত্বের জন্য দুই বৎসর ব্যপি বা ২৪ মাস । প্রতি নারী প্রতি মাসে ৩০ কেজি খাদ্যশস্য ও প্রশিক্ষণ পেয়ে থাকেন।
২।দরিদ্র মা’র জন্য মাতৃত্বকাল ভাতা প্রদান কর্মসূচি : দরিদ্র মা ও শিশু মৃত্যু হার হ্রাস, মাতৃদুগ্ধ পানের হার বৃদ্ধি, গর্ভাবস্থায় উন্নত পুষ্টি উপাদান গ্রহণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে “দরিদ্র মা”র জন্য মাতৃত্বকাল ভাতা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এ কর্মসূচির প্রতি উপকারভোগী মাসিক ৮০০/- টাকা হিসেবে তিনবছর পর্যন্ত এ ভাতা প্রদান করা হচ্ছে ।
০৩।ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা কর্মসূচি: জেলা পর্যায়ে শহর এলাকার দরিদ্র কর্মজীবী দুগ্ধদায়ী মা এবং তাঁদের শিশু- দের সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের মাধ্যমে সার্বিক জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন ও কর্মজীবী উপকারভোগী দরিদ্র মা’দেরকে ০৩ (তিন) বছর ব্যাপি প্রতিমাসে ৮০০/-টাকা করে ভাতা প্রদান করা হচ্ছ।
০৪।মহিলাদের আত্ম-কর্মসংস্থানের জন্য ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম: বিভিন্ন বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত বিত্তহীন ও দরিদ্র মহিলাদের উৎপাদনমূখী কর্মকান্ডে সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ক্ষুদ্রঋণ প্রদান করা হয়।
০৫।নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কর্মসূচি: ১৯৮৬ সালে নির্যাতনের শিকার নারীদের আইনগত পরামর্শ ও সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ১ জন আইন কর্মকর্তার সম্বনয়ে ৪টি পদ নিয়ে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কার্যক্রম শুরু হয় যা পরবর্তীতে জেলা ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধসহ নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে কমিটি গঠন এবং বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। ইউনিয়ন পর্যায়েও নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
০৬।জীবীকায়নের জন্য মহিলাদের দক্ষতাভিত্তিক প্রশিক্ষণ: জেলা পর্যায়ে গ্রামীন দুঃস্থ মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে মহিলা প্রশিক্ষন কেন্দ্রের মাধ্যমে স্থানীয় চাহিদার ভিত্তিতে বিভিন্নট্রেডে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে। উপপরিচালকের কার্যালয়, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর যশোরে – ১। ব্লক বাটিক, ২। দর্জিবিজ্ঞান, ৩।মোমবাতি, ৪। বিউটিফিকেশান ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। প্রত্যেকটি ট্রেডে তিনমাসের জন্য ২০ জন প্রশিক্ষণার্থীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া প্রশিক্ষণার্থীকে দৈনিক ১০০ টাকা ভাতা প্রদান করা হয়।
০৭।কিশোর-কিশোরী ক্লাব স্থাপন প্রকল্পঃ যশোর সদর উপজেলায় ১৬ টি ক্লাব সংগঠিত করে সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনে কিশোর-কিশোরীদের মানসিক বিকাশ সাধন বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
০৮।জয়িতা অন্বেষণঃ জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ শীর্ষক কার্যক্রমের আওতায় তৃণমূল পর্যায়ে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সংগ্রামী নারীদের সম্মাননা প্রদান করা হয়ে থাকে।
০৯।বিভিন্ন দিবস উৎযাপনঃ নারী দিবস ,কন্যা শিশু দিবস,বেগম রোকেয়া দিবস,বাল্যবিবাহ বিরোধ দিবস,আন্তর্জাতিক নারী দিবস,আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষসহ অন্যান্য দিবসসমূহ উদযাপন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস